গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা ও নিয়ম | Pregnancy Diet List

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা | গর্ভবতী মায়ের খাবারের লিস্ট | গর্ভবতী মায়ের খাদ্রের তালিকা - আপনি কিংবা আপনার পরিচিত কেউ যদি গর্ভবতী হন। তাহলে, TimesTrick.Com এর লেখাটি আপনাদের জন্য। আজকে আমরা শেয়ার করব " গর্ভবতী মায়ের খাবার লিস্ট বা তালিকা " আশাকরি, আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
আপনারা পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়বেন। আশাকরি, সব কিছু বুঝতে পারবেন। পোস্টটি ভালো লাগলে, আপনার ব্রাউজারে বুকমার্কে সেভ করে রাখুন।

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা

গর্ভবতী মায়ের এই সময়ে খাবারের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার এই সময়ে ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, জিংক, আয়রন, ভিটামিন খাবার গুলো বেশি বেশি করে খেতে হবে।

১. ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার

আমরা সবাই জানি, দুধে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া, ছানা বা চিজ খেতে পারেন। এছাড়া দই খেতে পারেন। কারন, দই তো দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়। ডাল, সোয়াবিন, রাজমা, ছোলা, সোয়াবিনের দানা, নানা ধরনের ডালেও প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি পালং, সরষে, নটে শাক, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, ফুলকপি ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মাংস খেতে পারেন। গর্ভবতী মায়ের জন্য এই গুলো হল ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা।

২. আয়োডিন জাতীয় খাবার

হিমালয়ান সল্ট আয়োডিনযুক্ত লবন। আপনারা চাইলে, গর্ভবতী মায়ের রান্নার সময় হিমালয়ান সল্ট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আলু, সামুদ্রিক শৈবাল, পাউরুটি, দুধ, গলদা চিংড়ি, স্ট্রবেরি, দই, সিদ্ধ ডিম, টুনা মাছ ও ভুট্টা ইত্যাদি আয়োডিন জাতীয় খাবার। গর্ভবতী মায়ের জন্য এই গুলো হল আয়োডিন যুক্ত খাবার তালিকা।

৩. জিংক জাতীয় খাবার 

জিংক জাতীয় খাবার লাল মাংসে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া গরুর, খাসি ও মুরগীর মাংস তে জিংক থাকে। জিংক জাতীয় খাবার সামুদ্রিক মাছ, ডাল জাতীয় খাবার, বীজ জাতীয় খাদ্য, বাদাম, দুধ, ডার্ক চকলেট ও শাকসবজি জাতীয় খাবারে থাকে। গর্ভবতী মায়ের জন্য এই গুলো হল জিংক যুক্ত খাবার তালিকা।

৪. আয়রন জাতীয় খাবার

আয়রন যুক্ত খাবার হল- কলিজা, ডার্ক চকলেট, ছোলা, কুমড়ার বিচি, ডালজাতীয় খাবার, পালং শাক, সিদ্ধ আলু, কাজুবাদাম, কিশমিশ, টমাটো, মটরশুঁটি, শিমের বীচি ইত্যাদি। গর্ভবতী মায়ের জন্য এই গুলো হল আয়রন যুক্ত খাবার তালিকা।

৫. ভিটামিন জাতীয় খাবার

ভিটামিন সাধারনত ৬ ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-ই এবং ভিটামিন-কে।

ভিটিমিন-এ জাতীয় খাবার

ছোট মাছ, দুধ, মাখন, কড লিভার ওয়েল, ঘি, মাংস, ডিম, গাজর, পালংশাক, বাধাকপি, ব্রকলি, লাল মরিচ, টমেটো, কুমড়া, লেটুস, আম, জাম্বুরা ও পাকা পেঁপেতে ভিটামিন-এ পাওয়া যায়।

ভিটামিন-বি জাতীয় খাবার

ওটস, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার, শিম ও মটরশুটি, মাশরুম, বাদাম ও বিভিন্ন প্রকারের বীজ, আস্ত শস্য, সবুজ শাক সবজি (পালং শাক), কলা, আভোক্যাডো, গুড়, মধু ইত্যাদি।

ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার

লেবু, আমলকি, পেয়ারা, আনারস, জাম্বুরা, চালতা, জলপাই, তেতুল, সবুজ আপেল, কমলা, আঙ্গুর, জাম, আমড়া, কাঁচা মরিচ, পুদিনা পাতা, পার্সেলে পাতা ইত্যাদি।

ভিটামিন-ডি জাতীয় খাবার

তৈলাক্ত বা চর্বি যুক্ত বিভিন্ন মাছ। পোনা মাছ, স্যামন মাছ, পাঙ্গাস মাছ প্রভৃতি। মাশরুম, দুধ, কর্ডলিভার ওয়েল, চিজ, কমলা লেবু, ওটস ও বাদামী চাল, ডিমের কুসুম, দই, গম, রাগী, বার্লি, পনির ইত্যাদি।

ভিটামিন-ই জাতীয় খাবার

চিনাবাদাম, আখরোট, বাদাম, উদ্দভিজ তেল, কুসুম, গম, সয়াবিন, সূর্যমুখী, সবুজ শাকসবজি (পালং শাক, বাধা কপি, ব্রকলি, কাঁচা শালগম), বিভিন্ন ধরনের মরিচ, মটর শুটি, লেবু, আভোকাডো, ডিম, স্যালমন মাছ, চর্বিবিহীন মাছ ইত্যাদি।

ভিটামিন-কে জাতীয় খাবার

সবুজ রঙের শাকসবজি, লেটুস পাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডিমের কুসুম, ছাগলের যকৃত, সয়াবিন তেল, শালগম, বিট, মুলা, লাল মরিচ, পালংশাক, বেদানার রস, গাজরের রস, ব্লুবেরি, রসুনের পাতা ইত্যাদি।

শেষকথাঃ পোস্টটি আশাকরি, আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আর! যদি পোস্টটা ভালো লেহে থাকে। আপনার বন্ধ-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। পোস্টটি সম্পূর্ন গুগলের সার্চ এর মাধ্যমে সকল খাবারের তালিকা খুজে পেয়েছি। যদি, কোন কিছু ভূল হয়। আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ভূল সংসোধন কনে দিব। আর! হ্যাঁ। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url